হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : তিনদিন ধরে হবিগঞ্জে দেখা নেই সূর্যের। তীব্র ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত তিনদিন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৫ শিশু। এছাড়া পুরনো ভর্তি রয়েছে অন্তত ২৫ শিশু।
এদিকে হঠাৎ রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। গতকাল বিকালে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত শয্যার তুলনায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। অনেকেই বেড না পেয়ে মেঝেতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকে আবার বাড়ি থেকে শীতের কাপড় এনে শিশুদের আগলে রাখছেন।
তবে অভিভাবকরা বলছেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে পারছেন না নার্সরা। তাই রোগীদের ভোগান্তি কমাতে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা বাড়ানোর দাবি জানান তারা। শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হবিগঞ্জ শহরতলির বহুলা গ্রামের নাছিমা আক্তার জানান, গত শুক্রবার ঠাণ্ডার কারণে অজ্ঞান হয়ে যায় তার সাড়ে ৩ বছরের শিশু নাঈমা আক্তার। হাসপাতালে ভর্তির পর স্যালাইন পুশ করার কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফেরে।
লাখাই উপজেলার কালাউক গ্রামের রহিমা বিবি জানান, ঠাণ্ডায় তার আটদিন বয়সী নবজাতক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কায়সার রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাদের মধ্যে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ এড়াতে অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
প্রতিনিধি