জৈন্তাপুর প্রতিদিন: জৈন্তাপুরে ১০ মাসের শিশু সন্তানের মায়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে৷ পরিবারের দাবী হত্যা, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী আটক৷ এলাকাবাসী ও মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বরে তাদের মেয়ে ১০মাসের কন্যা সন্তানের জননী সেলিনা আক্তার (২৮) সন্ধ্যায় নিজ পিত্রালয় গোয়াইনঘাট উপজেলার ছৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামে যায়৷ ঐ দিন রাত মা ও বড় ভাইয়ের বউয়ের কাছে জানায় তার
স্বামী জৈন্তাপুর উপজেলার বিড়াখাই গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া (৩৫) টমটম গাড়ী ক্রয় করবে এজন্য ১লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানায়৷ ইতোপূর্বে সে একাধিক বার বিভিন্ন ভাবে টাকা শশুরবাড়ী হতে নেয়৷ টমটম ক্রয়ের জন্য টাকা না নিয়ে বাড়ী ফিরলে অসুবিধা হবে বলেও জানান৷ এদিকে মেয়েকে তার বড় ভাই মোঃ আসমান আলী বলেন তুমি বাড়িতে যাও দু-চার দিনের মধ্যে ১লক্ষ টাকা ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে৷
ভাইয়ের কথায় ১৭ ডিসেম্বর বাদ আসর সেলিনা কোলেন সন্তান নিয়ে বাড়ী ফিরে৷ কিন্তু সন্ধ্যা ৬ টায় সেলিনার ভাইয়ের কাছে ফোন যায় সে আত্মহত্যা করেছে৷ খবর পেয়ে দ্রুত তারা ছুটে আসেন জৈন্তাপুর উপজেলার বিড়াখাই গ্রামে৷ তারা পৌছার পূর্বেই জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে এবং লাশ থানায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহন করে৷
এদিকে গ্রামবাসী সহ ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুনুর রশিদ সহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেলে কেউই ঘটনার বিষয়ে কিছু বলছেন না৷ প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন না বলে জানান৷ সবাই একটি কথা বলেন ১০ মাসের কন্যা সন্তান রেখে আত্মহত্যা করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না৷ এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে গ্রামবাসী সেলিনার স্বামী ডালিম কে আটক করে রাখে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে থাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন৷
ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশের এস.আই প্রতিবেদকে জানান, প্রাথমিক অবস্থাদেখে বুঝা যাচ্ছে এটি আত্মহত্যা৷ অধিকত্বর তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জানান, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে৷
অধিকত্বর তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করান হবে৷ মেডিক্যাল রির্পোট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনার রহস্য জানা যাবে৷ প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদেরর জন্য সেলিনার স্বামীকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে৷
প্রতিনিধি