মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে মায়ের অবর্তমানে বাবার কাছে ১২ বছর বয়সের নিজ শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষক পিতাকে আটক করেছে। গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রামে বাবা আফাজুল মিয়া (৩৫) তার দ্বিতীয় মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ধর্ষিতার নানা বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রামের আফাজুল মিয়া ও স্ত্রী শেফালী বেগমের ঘরে ৩ মেয়ে রয়েছে। আফাজুল মিয়ার স্ত্রী শেফালী গৃহকর্মী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন। বড় মেয়ে প্রতিবন্ধী সামারুন (১৫), দ্বিতীয় মেয়ে ধর্ষিতা (কামরুন নাহার) (১২) ও তৃতীয় মেয়ে জেসি বেগম (৬)। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাদের বাবা আফাজুল মিয়া দ্বিতীয় মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা মেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে রক্তাক্ত অবস্থায় বিষয়টি তার স্বজনদের জানালে স্থানীয়রা কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
মঙ্গলবার বিকালে কমলগঞ্জ থানার এএসআই আনিসুর রহমান ও এএসআই রিপন সরকারের নেতৃত্বে পৃলিশের একটি দল উত্তর কাঁঠালকান্দি গ্রাম থেকে অসুস্থ অবস্থায় ধর্ষিতা মেয়ে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা গুরুতর দেখে বিকালে নির্যাতিতা মেয়েকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে পুলিশ নির্যাতিতার বক্তব্য গ্রহণসহ বাড়ির লোকজনের বক্তব্য গ্রহণ করে সন্ধ্যায় ধর্ষক পিতা আফাজুলকে আটক করে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘নির্যাতিতা মেয়ের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে বাবাই ধর্ষক। তাই তাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিকার নানা বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় বুধবার রাতে একটি ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার আটক ধর্ষণকারী পাষন্ড আফাজুল মিয়াকে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি