কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ’ নামের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে মৃত: কলেজ ছাত্র ইমনের লাশ ময়না তদন্ত না করে দাফনের ১০দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থানে কবর থেকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, “আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা ইমনের কবর থেকে তার মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে” মৃত্যু হয় কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে কলেজ ছাত্র ইমন(২০)র। ঘটনার সময় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসন বরাবর অনাপত্তি আবেদন করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশটি দাফন করে পরিবার। কিš‘ ঘটনার পরেই ওই প্রতিষ্ঠানের ক্লজসার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসন।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামী করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন। মামলার এজাহারে প্রতিষ্ঠান মালিক ও পরিচালক আব্দুল মতিনসহ মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাসদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত বলে অভিযোগ দেন এজাহারকারী। পরে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও আইন শৃংখলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তিন আসামীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
প্রতিনিধি