অনলাইন ডেস্ক : ইরাকে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ২৫ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৩৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাকের দক্ষিণ অংশের শহর নাসিরিয়াতে এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বিক্ষোভকারীরা দুটি সেতু দখল করে আটকে রাখলে তাদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। গুলি ছাড়াও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়।
এক বিবৃতিতে ইরাকের সেনাবাহিনী জানায়, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি জরুরি ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি ও সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের নির্দেশে জরুরি এ ইউনিটে বেশ কয়েকজন সেনা কমান্ডারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে,’ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
এদিকে ভয়াবহ সহিংসতার পর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কেবল একদিন আগেই তাকে ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত মাস থেকেই বেকারত্ব সমস্যা, উন্নত সরকারি সেবার দাবি ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছেন ইরাকিরা। ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কারণেও ক্ষুব্ধ তারা।
বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বুধবার নাজাফ শহরে ইরানি কনস্যুলেটে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ সেখানে কারফিউ জারি করে। এরই জের ধরে বিক্ষোভকারীদের সরাতে চাইলে ভয়াবহ এ সহিংসতার সূত্রপাত হয়।এ নিয়ে এক মাসেরও দীর্ঘ সময় ধরে চলমান এ আন্দোলনে কমপক্ষে ৪০ জনেরও বেশি ইরাকি নিহত হলো।
প্রতিনিধি