সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মজলিসপুরে সড়কের পাশে বনের ঝোপে ফেলে যাওয়া নবজাতক কন্যা সন্তানটিতে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজসেবা অধিদফতর ও পুলিশের সহায়তায় নবজাতককে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার রাতে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মজলিশপুরের নিতাই দাসের বাড়ির পেছনে বনের ঝোপ থেকে নবজাতক কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় একজন মহিলা ডেলিভারি কেস নিয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের ওই নবজাতক কন্যা সন্তানটির জন্ম হয়।
সন্তান প্রসবের পর কাউকে না জানিয়েই নবজাতক সন্তানসহ গর্ভধারিণী মা ও তার সঙ্গে থাকা লোকেরা পালিয়ে যায়। রাতেই হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মজলিশপুর থেকে এই নবজাতককে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নবজাতকের নাভিতে ক্লিপ লাগানো ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. সুমন রায় চৌধুরী জানান, সকালে নবজাতকটিকে দেখে চিনতে পারেন সেবিকা শামীমা বেগম। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রাতে প্রসব হওয়া সন্তান ও তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, সে সময়ের সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গলা ফুলে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, গলায় সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে শিশুটিকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ সময় কান্না শুরু করায় মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে ফেলে চলে যায় মা। দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল জানান, নবজাতকের কথিত মা কলি ও তারিক মিয়াকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
প্রতিনিধি