শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম:
নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১ বিধ্বস্তে আহত আলমুন নাহার অ্যানি চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগর হাওলা গ্রামে পৌঁছান তিনি। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্বজনরা ছিলেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন অ্যানি। কিন্তু দুর্ঘটনায় তার স্বামী এফ এইচ প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়ে দুই দফায় বেশ কয়েকদিন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। নিহত প্রিয়কের চাচাতো ভাই লুৎফর রহমান জানান, বিকেল পৌনে ৩টার দিকে অ্যানি ঢামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরেই তিনি স্বামী প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ীর কবরের পাশে গিয়ে কান্নাকাটি করেন। তিনি জানান, অ্যানি বর্তমানে সুস্থ থাকলেও স্বামী সন্তানের শোকে ভেঙে পড়েছেন। এর আগে প্লেন দুর্ঘটনার পর গত ১৯ মার্চ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি আসেন। ওইদিন তার স্বামী সন্তানের মরদেহ বাড়ি আনা হয়। পরের দিন ২০ মার্চ পৃথক দু’টি স্থানে জানাজা শেষে স্বামী প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ীকে বাড়ির সামনে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এরপর আবার অ্যানিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্লেন বিধ্বস্তে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগরহাওলা এলাকার একই পরিবারের দু’জন নিহত ও ৩জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে অ্যানির স্বামী শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা এলাকার মৃত শরাফত আলীর ছেলে এফ এইচ প্রিয়ক ও তার মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ী। এঘটনায় আহত হন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি, একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা।