Home » ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত ‘বাকি ইতিহাস’

২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত ‘বাকি ইতিহাস’

ছবির পটভূমিতে থাকছে রাজনীতির গন্ধ। তবে তথাকথিত রাজনৈতিক ছবি বলতে বাংলা ছবির দর্শক যেধরনের সিনেমার সঙ্গে পরিচিত, ঠিক তেমনটাও আবার নয়। ছবির গল্পে রাজনীতির সঙ্গে মিশে রয়েছে গ্রাম বাংলার একটা মেঠো সুর। এমনই একটি গল্প নিয়ে ‘বাকি ইতিহাস’ ছবিটি বানিয়ে ফেলেছেন পরিচালক তুষার বল্লভ। এটাই তাঁর প্রথম ছবি। আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছেন পরিচালক। ২৫ তমকলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্যানোরমা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে তাঁর এই ছবি। 

এবিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে তিনি বলেন, ”ছবিটি একটি রাজনৈতিক ছবি। তবে রাজনৈতিক ছবি বলতেই বাংলা ছবির দর্শকের হয়ত প্রথমেই মাথায় আসবে মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক ঘরনার ছবির কথা। তবে আমার ছবি ‘বাকি ইতিহাস’ এক্কেবারেই তেমনটা নয়। আবার এটি বলিউডের স্টাইলের কোনও রাজনৈতিক ছবিও নয়। কবি জসীমউদ্দীনের কবিতায় যে রাজনীতিটা পাওয়া যেত, যেখানে একটা মেঠো সুর রয়েছে, ‘বাকি ইতিহাস’-এর রাজনৈতিক পটভূমিকা খানিকটা সেইরকম বলা যেতে পারে।

ছবিতে কোনও তত্ত্বের বা তথ্যের ভার নেই। তত্ত্ব রয়েছে, তবে তা চরিত্রগুলির মধ্যেই। আবার কোনও গুরু গম্ভীর আলোচনাও নেই। ছবির গল্পের সঙ্গে দর্শক খুব সহজেই নিজেকে একাত্ম করতে পারবেন। ছবিতে সেই চরিত্রগুলি তুলে ধরা হয়েছে যাঁরা আমাদের চারপাশেই থাকেন, অথচ তাঁদের আমরা দেখেও দেখি না। আমি চেষ্টা করেছি সেই চরিত্রগুলিকে তুলে ধরতে। এই ছবিতে বাণিজ্যিক অন্যান্য ছবির মতো কোনও চকচকে গল্প নেই। এক্কেবারে প্রান্তিক মানুষগুলোই এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। পরিচালক তুষার বল্লভ আরও জানান, ”মেদিনীপুরের একেবারে গ্রামের দুই ছেলেমেয়ে। যাঁদের এখন বয়ঃসন্ধিকাল। তাঁদের স্বপ্ন দেখা ও স্বপ্ন ভঙ্গের গল্পই বলবে বাকি ইতিহাস। তাঁদের স্বপ্নের রঙিন ক্যানভাস কীভাবে ধীরে ধীরে বর্ণহীন হয়ে যায়, সেটাই তুলে ধরা হবে।

পরিচালক আরও জনান, তিনি তাঁর বাকি ইতিহাসের শ্যুটিং করেছে বাঁকুড়ার একটি গ্রামে। তবে এই ছবিতে যাঁরা অভিনয় করেছেন তাঁরা এক্কেবারেই কোনও পেশাদারী অভিনেতা-অভিনেত্রী নন। সাধারণ কিছু যুবক যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করানো হয়েছে। 

‘বাকি ইতিহাস’ ছবিটিতে সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি আর্ট ডিরেকশন ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ, যাঁর দায়িত্ব ছিলেন সমীর আইচ। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অনির্বাণ রায়। পরিচালকের কথায়, এই ছবিতে মৈথিলী ভাষায় চর্যাপদের একটি গান রয়েছে। বাংলায় যে ঐতিহ্যবাহী পাঁচালী গান, সেই গানও রয়েছে এই ছবিতে।সূত্র:জিনিউজ

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *