মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান মোল্লা নামের এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের কুমড়াখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, মসজিদে আরবি পড়তে গেলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন মেহেদী। গতকাল ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি সামনে আসে।
গ্রেপ্তার মেহেদী বাগেরহাটের রায়েন্দা থানার রাজাপুর গ্রামের আ. জব্বার মোল্লার ছেলে। গত ১২ বছর ধরে তিনি এলাকার জবান খাঁন জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে চাকরি করেন। আজ বুধবার তাকে আদালতে তোলার পর বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, গত অক্টোবরে সহপাঠীদের সঙ্গে মসজিদে আররি পড়তে মেহেদীর কাছে যায় ওই কিশোরী। পড়াশেষে সবাইকে ছুটি দিলেও কিশোরীকে নিজের ঘর ঝাড়ু দেওয়া কথা বলে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করেন মেহেদী।
গত ১৫ অক্টোবর একইভাবে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে আবার ধর্ষণ করে সেই ইমাম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরী স্কুলে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুল থেকে ছুটি দেওয়া হলে বাসায় এসে তার নানীকে পুরো ঘটনা খুলে বলে সে। পরে এলাকার লোকজন ইমাম মেহেদি হাসান মোল্লাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম জানান, রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী ঘটনাটি তাদের জানালে ইমাম মেহেদীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শশাংক চন্দ্র ঘোষ জানান, ওই কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, মেহেদীকে আটকের পর ওই কিশোরীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
প্রতিনিধি