সিলেটের ওসমানীনগরে শৈলেন দাস (৫৫) ও শুভন কর (৩০) নামের দুই ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত শৈলেন উপজেলার তাজপুর ইউপির রবিদাস গ্রামের সুশিল দাসের ছেরে ও শুভন কর একই উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির ইলাশপুর গ্রামের রুনু কর এর ছেলে।
কিডনির অসুখ জনিত কারণে শৈলন ও শুভন করের মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও বিভিন্ন সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, গত শনিবার রাতে উপজেলার তাজপুরে চা দোকানী শৈলন দাস, মুদি দোকানী শুভন কর, পান ব্যবসায়ী বনো, চুন ব্যবসায়ী পরিমল মালাকার সহ বেশ কয়েক জন মিলে দেশীয় চোলাই মদ পান করে। মদ পানের পর পর শুভন কর, শৈলন দাস, বনো ও অজ্ঞাতনামা আরো এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পরে। মদ পানের পর পর পান ব্যবসায়ী বনো বমি করেন। তাৎক্ষনিক চিকিৎসা নিলে বনো প্রাণে বেঁচে যায়।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবারেই শুভন কর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন। স্তানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েও কোনো উন্নতি না হওয়ায় শৈলন দাম বুধবারে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। একই সময় অজ্ঞাতনামা আরেক মদ্যপানকারী একই হাসপাতালে ভর্তি হন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে শুভন কর ও পরে শৈলন দাস ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে মারা যান।
ওসমানীনগর থানার ওসি(তদন্ত) এসএম মাইন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে মৃত্যুবরণকারী দুই ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে উপজেলার গোয়ালাবাজারে চোলাই মদ্যপান করে এক সাথে ১১জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে ঘটনায় ওসমানীনগর সহ গোটা সিলেটজুরে অলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রতিনিধি