সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নৃশংসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হত্যায় ব্যবহার করা দুটো ছুরিতে দুইজন ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে। ওই দুটি ছুরি শিশু তুহিনের পেটে বিদ্ধ ছিল। তুহিনের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই সঙ্গে শিশুটির লিঙ্গ ও কান কেটে দেয়া হয়।
এরই মধ্যে এ ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে শিশুটি বাবার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল। শিশুটির বাবা বাছির প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেখতে পান বসত ঘরের সামনের দরজা খোলা।
এ সময় তিনি দেখতে পান তুহিন বিছানায় নেই।সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে দিরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।তুহিনের স্বজনদের অভিযোগ, রাতে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে।দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের মোল্লা বলেন, ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে।