অনলাইন সংস্করণ : ছাত্রলীগের হাতে নির্মমভাবে নিহত আবরার ফাহাদ প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের ভিসিকে আলটিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের ১০ দফা দাবি পড়ে শোনান।
তারা বলেন, আবরার হত্যার ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ভিসি ঘটনাস্থলে কেন উপস্থিত হয়নি। পরে এলেও আন্দোলনকারীদের অপদস্থ করা হয়। এ জন্য বিকাল ২টার মধ্যে ভিসিকে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনকারীরা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা। এ সময় শেরেবাংলা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১১ অক্টোবর বিকাল ৫টার মধ্যে সিসিটিভিতে শনাক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। আন্দোলনকারীরা জানান, মামলার সব খরচ ও আবরারের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে। মামলাটি দ্রুততম ট্রাইব্যুনালে অধীনে দ্রুত নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করতে হবে।দাবিতে আরও বলা হয়, র্যাগের নামে শারীরিক ও মানসিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
ছাত্ররা আরও দাবি করেন, পূর্বে ঘটা এ ধরনের নির্যাতন ও পরে ঘটা নির্যাতন প্রকাশের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফরম তৈরি করতে হবে। তা রিভিউ করে দ্রুততম বিচারের ব্যবস্থা করা।এ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান তারা।
প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।এ ঘটনায় আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। সূত্র: যুগান্তর
প্রতিনিধি