দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সমস্যা সমাধানে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দু-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা হলেও বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে চলছে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রোববার দুপুরে নগরীর সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ড. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন কোনো সেশনজট নেই। এখন সঠিকভাবে চলছে সব। কোথাও কোথাও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ইস্যুতে ছোটখাটো আন্দোলন আছে, কিছু দাবি-দাওয়া আছে। যখনই যেখানে যে সমস্যা আসে, আমরা তখনই দ্রুততার সঙ্গে সেগুলো মোকাবেলা করছি। আলাপ-আলোচনা করছি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’ সিলেটের শিক্ষক সংকট সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলী পুরকায়স্থ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিকেলে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ৪৮তম গ্রীষ্ফ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।
কোচিং বাণিজ্য প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং বাণিজ্য এমন একটি বিষয়, এটি সুইচ টিপে চালু আর সুইচ টিপে বন্ধ করা যায় না। এটি বন্ধের ক্ষেত্রে সরকারের যেমন সদিচ্ছা আছে, তেমনি আমাদের সকলের সদিচ্ছা থাকতে হবে। শিক্ষক-অভিভাবকদের সদিচ্ছা থাকতে হবে, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘কোচিং পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয় নয়। অনেক শিক্ষার্থী আছে, যাদের দুর্বলতা আছে কোথাও, কোচিং প্রয়োজন তাদের। সারাবিশ্বেই কোচিং হয়। তবে নিজের শিক্ষালয়ে শিক্ষাদান না করে যারা অর্থের বিনিময়ে পড়তে বাধ্য করেন, তা বন্ধ করতে হবে।’
রোববার অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সিলেট বিভাগের ১৪টি স্কুলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নে স্কুল ফিডিং নীতিমালার আওতায় সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পর মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিড-ডে মিল চালু করেছে। শিশুদের স্কুলমুখী করতে প্রতি মিলের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনূর্ধ্ব ২০ টাকা গ্রহণ করা যাবে। প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত রান্নার জায়গা এবং রান্নার পরিবেশন করার জনবলের ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রতিনিধি