সিলেটের বিশ্বনাথে পিতা পুত্রের সন্ত্রাসীর কর্মকান্ডে একটি গ্রামের লোকজন ও আত্মীয় স্বজর অতিষ্ট। থানা পুলিশও পিতা পুত্রকে দেখলে ভয় পায়। অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না। এমন বিস্ময়কর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ভোলাগঞ্জ গ্রামে। এই গ্রামের আব্দুন নুর নামের এক ব্যক্তি কিছুদিন পূর্বে নিজের ছেলেকে নিয়ে নিজ পিতা আব্দুল মুতলিবকে মারপিট করে জখম করে। লোক লজ্জায় পিতা আব্দুল মুতলিব আইনের আশ্রয় নেননি। কিন্তু গ্রাম্য শালিশে বিচার করতে চাইলে আব্দুন নুর তা অমান্য করে। কয়েকদির পূর্বে আব্দুন নুর তার আপন ছোট ভাই আব্দুল গফুরের পুকুরের মাছ জোর পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। আব্দুল গফুর তাতে প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। নিরুপায় আব্দুল গফুর আদালতে মাছ চুরির একটি মামলা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। এই মামলা দায়েরের কারনে আব্দুন নুর তার পুত্র মাহবুবকে নিয়ে গতকাল সোমবার আব্দুল গফুরকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আব্দুল গফুরের আরেক ছোট ভাই গেদা মিয়া তিন জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। ইতিপূর্বে আব্দুন নুর তার পুত্রকে নিয়ে আপন চাচা যুক্তরাজ্য প্রবাসি মৃত রুস্তুম আলীর অনেক ভু-সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে। এমন অবস্থায় অতিষ্ট হয়ে রুস্তুম আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসি আব্দুস সাত্তার দেশে এসে অতি গোপনে সমুদয় ভু-সম্পত্তি বিক্রি করে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, আব্দুন নুর খাজাঞ্চি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার সুযোগে নিজের আত্মীয় স্বজর ও গ্রামবাসিকে নানা ভাবে হয়রানি করছে। কিছুদিন পূর্বে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের একজন এসআই একটি মামলার তদন্ত করতে গেলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করে। এই এলাকায় পিতা-পুত্র সন্ত্রসী এখন মূর্তিমান আতংক। এ ব্যাপারে থানার সেকেন্ড অফিসার ফজলুল হক বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই। বাদির অভিযোগ সত্য পাওয়া যায় এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।