পারিবাকির কলহ ও মৌখিক তালাকের জের ধরে স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের চেষ্টা চালিয়েছেন এক স্ত্রী। গুরুতর আহতাবস্থায় ময়না মিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের দ্বিনপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ময়না মিয়া দ্বিনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে ময়না মিয়ার সাথে বিয়ে হয় মোগলাবাজার থানার খলাগাঁও গ্রামের সুলতানা বেগমের। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সোমবার ঝগড়ার একপর্যায়ে ময়না মিয়া স্ত্রী সুলতানা বেগমকে মৌখিকভাবে তালাক দেন। খবর পেয়ে তার শ^শুর বাড়ির লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করতে ময়না মিয়ার বাড়িতে যান। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় আলোচনা অমীমাংসিত রেখে সুলতানাকে আলাদা ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়ে মুরব্বীরা চলে যান। ভোররাতে সুলাতান বেগম উঠে স্বামী ময়না মিয়ার ঘরে ঢুকে ব্লেড দিয়ে তার লিঙ্গ কর্তনের চেষ্টা করেন। ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, লিঙ্গ কর্তনের চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি।
এসময় ময়না মিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।