শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম:
কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করা হবে, সরকারের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত; ওবায়দুল কাদের।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান, সেতুমন্ত্রী। সরকার আন্দোলনকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বলেও জানান তিনি। এ সময় আটক হওয়া নির্দোষ আন্দোলনকারীদের আজকের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, সরকার এই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা নেবে।
রোববার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানের বাসভবনে হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধিদের নিয়ে মন্ত্রী বৈঠকটি শুরু হয়। এর আগে, বৈঠকে কোটা সংস্কারের দাবিতে গঠিত ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
সচিবালয়ে যাওয়ার আগে, বেলা আড়াইটার দিকে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখপাত্র হাসান আল মামুন বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মামুন বলেন, “আমাদের মধ্যে থেকে ১০ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলতে। আমরা বৈঠক করে এসে সিদ্ধান্ত জানাব। তার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে হাসান আল মামুন বাংলা একডেমির সামনে গিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি অনুরোধ করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেন পুলিশ আর টিয়ারশেল না ছোড়ে বা ধাওয়া না দেয়। এরপর রাজু ভাস্কর্যের কাছে আন্দোলনকারীদের অবস্থানে এসে তিনি বলেন, “আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি আমাদের দিকে হামলা না চালাতে। আপনারাও পুলিশের দিকে কোনো ঢিল ছুড়বেন না।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরে, তারা শাহবাগে অবস্থান নিলে রাতে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট-কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়। কিন্তু এরপর এরপর বিক্ষোভ আর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে ঢাকাসহ দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
বার্তা বিভাগ প্রধান