শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোরডটকম প্রতিনিধি ঢাকা : কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ টি.এস.সি শাহাবাগ মোড়ে প্লেকাট ও ব্যনার নিয়ে বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয় সাধারন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন এবং দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবে বলে সিদ্ধন্ত নেয় সাধারন শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শাহবাগ মোড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ এর দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় লাঠিপেটাও শুরু করে পুলিশ। একই সঙ্গে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় শাহবাগের মোড়। এ সময় আন্দোলনকারীরা শাহবাগের বিভিন্ন জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায় নি।
পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে আন্দোলনকারীদের অনেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চত্বরে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। শিক্ষার্থীরা শাহাবাগ মোড় থেকে টি এস সি মোড়ে অবস্থান নেয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুর মারে । পুলিশ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য করে বিপুল পরিমানে টিয়ারসেল ও অ্যলুনিয়াম গ্যাস ছোড়ে । সব মিলিয়ে শাহাবাগে রনক্ষেত্রে পরিনিত হয় এবং থমথমে ও ভুতরে অবস্থায় পরিনিত হয় শাহাবাগ মোড়ে। পুলিশ কিছুক্ষন পর পর এলুনিয়াম গ্যাস ছুরতে থাকে এবং বিপুল পরিমান পুলিশ ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। তখন শাহাবাগে যান চলা চল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারন মানুষের চলা চল ও বিগ্ন ঘটে, মানুষ জন আতঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়।
শান্তি পূর্নচাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের বিষয়ে তারা প্রথমে ১০ দফা দাবি জানালেও এখন দাবি পাঁচটি। দাবিগুলো হচ্ছে—কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদে মেধায় নিয়োগ দেওয়া, নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া এবং চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।
২০১৩ সালে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন জেগে উঠলেও বেশি দূর এগোতে পারেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের বছর হওয়ায় ছাত্রদল-শিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছাত্রলীগ পিটুনি দিলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এবার আবার নির্বাচনের বছরে কোটা সংস্কার দাবিতে মাঠে নেমেছে তরুণ বেকাররা, যারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিলেও উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও নিয়োগ না পাওয়া বা উত্তীর্ণ হতে না পারার জন্য তারা কোটা সংরক্ষণকে দুষছে।
সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিতে এখন ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনির জন্য কোটা ৩০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, সব জেলার জন্য ১০ শতাংশ আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। আর ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।