ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোণা যাওয়ার পথে হোটেল কক্ষে ‘স্বামীকে বেঁধে রেখে’ এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা রাজেন্দ্রপুর বিসিক শিল্প এলাকায় এ ঘটনায় ওই নারী মামলা করেছেন। নেত্রকোণা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে ওই নারী বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন ‘সারিন্দা’ নামের খাবার হোটেলের ব্যবস্থাপক মাহফুজুল ইসলাম ওরফে মামুন মিয়া (৩৫), চল্লিশা রাজেন্দ্রপুরের সাইদুর রহমান (৩০), জামান বাশার (২৭), রেজাউল করিম ওরফে পাভেল (২৮), এনামুল হক (২৭), মো. জিহান (২৭) ও মো. রাসেল (৩০)।এদের মধ্যে মাহফুজুল ইসলাম ওরফে মামুন মিয়া (৩৫), মো. সাইদুর রহমান (৩০), জামান বাশার (২৭) ও রেজাউল করিম ওরফে পাভেলকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
মামলায় বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ওই গৃহবধূর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। তিনি স্বামীর সঙ্গে ভালুকা সিডস্টোর এলাকায় থাকেন। তার স্বামী সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার বিকালে তারা সেখান থেকে বাসে নেত্রকোণার কলমাকান্দা এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। মামলায় বলা হয়, ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা চল্লিশা রাজেন্দ্রপুর বিসিক শিল্প এলাকায় নেমে পড়েন। এ সময় শৌচাগারে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী স্থানীয় ‘সারিন্দা’ নামের একটি খাবারের হোটেলে যান। নিরিবিলি পরিবেশে হোটেলটির অবস্থান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সেখানে ওই গৃহবধূ শৌচাগার থেকে বের হলে হোটেলের ব্যবস্থাপকের সহাযোগিতায় এক কর্মচারী একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ওই সময় সেখানে ঢুকে আরও পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্বামী অপর একটি কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে ওই যুবকরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে কক্ষে বেঁধে রাখে। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাত ১টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয় বলে মামলায় বলা হয়।
ওসি বলেন, সেখান থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ওই ব্যক্তি নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং তিনি নিজে নেত্রকোণা মডেল থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ শনিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে আটক করে।পরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় গিয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন বলে ওসি জানান।ওসি তাজুল আরও জানান, গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি