পবিত্র ঈদ-উল-আযহা বাকি মাত্র একদিন। আজ রবিবার শেষে কাল সোমবার দেশে এই ঈদ পালিত হবে। তবে সিলেটে এখনও কোরবানির পশু কেনাবেচা পুরোপুরি জমে ওঠেনি। আজ রবিবার দিনগত রাতের দিকে চেয়ে আছেন গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। নগরীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গত দু-তিন দিন ধরে হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। কিন্তু খুব কম সংখ্যক ক্রেতাই এই সময়ের মধ্যে কোরবানির জন্য নিজের প্রয়োজনীয় পশু কিনেছেন।
ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা গরুর দাম না ছাড়ায় তারা কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে দেশীয় গরুর দাম অত্যধিক হওয়ায় ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন দাম কমার। একাধিক ক্রেতা বলেন, কাজীরবাজারসহ বিভিন্ন হাটে বিপুল পরিমাণ গরু আছে। কিন্তু ক্রেতারা বেশি দামের আশায় গরু বিক্রি করছেন না। আজ রবিবার রাতে এসব গরুর দাম অনেকটাই কমে যাওয়ার আশা করছেন তারা।
কাজীরবাজারে গরু কিনতে যাওয়া নগরীর খোজারখলার কবির উদ্দিন বলেন, ‘হাটে অনেক গরু। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাম চাইছেন অত্যধিক। ফলে আমার মতো অনেক ক্রেতাই গরু কিনছেন না। রবিবার দিনগত রাতে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই গরু কম দামে বিক্রি করবেন। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা এখনও কোরবানির জন্য পশু না কেনায় শেষমুহুর্তে গরু বা অন্য পশুর চাহিদা বেশি থাকবে। কোরবানির জন্য ক্রেতারা বাধ্য হয়েই পশু কিনবেন। তখন দামও ভালো পাওয়া যাবে।
কাজীরবাজার, টিলাগড়সহ কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশীয় গরুর চাহিদা খুব বেশি। এ সুযোগে দেশীয় ছোট ও মাঝারি গরুর মূল্য বেশি চাইছেন বিক্রেতারা। মাঝারি আকারের গরু ৭০-৮০ হাজার টাকা চাইছেন তারা। একটু ছোট আকারের গরুর দাম চাইছেন ৫০-৬০ হাজার টাকা। আবার বড় আকারের সকল গরুর মূল্য লাখ টাকার উপরে হাঁকছেন বিক্রেতারা।
প্রতিনিধি