আবারও হেফাজত ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের একই ইস্যুতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে কাশ্মিরে নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এতে জামায়াত ঘরানার পরিচিত নেতাদের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সরকারপন্থী নেতারা একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেন “কাশ্মির সংহতি পরিষদ” নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে বিপুল সংখ্যক শিবির নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী মজলিশের শুরার সদস্য খলিলুর রহমান মাদানী। তিনি বাংলাদেশ মসজিদ মিশনে সেক্রেটারি ও সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন।
খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, ‘কাশ্মিরে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। অচিরেই সেখানে মুসলমানদের কাছে তাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। কাশ্মিরে মুসলমানদের পক্ষে সর্বস্তরের মুসলমানদের রাজপথে নামতে হবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলান আব্দুল লতিফ নেজামী। তিনি একই সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান। উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি কানুন বাস্তায়ন পরিষদের নেতা আবু তাহের জিহাদি, হেফাজতের ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, আহমদ আলী কাসেমী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওলান ফখরুল ইসলাম। তিনি খেলাফত আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন নামে নতুন একটি দল গঠন করেছেন। সেখানে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মাওলান ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সর্বদলীয় আয়োজন ছিল, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির নয়। আমি নিজে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের প্রচার সম্পাদক। আরও অনেক হেফাজত নেতাও ছিলেন।’
জামায়াত নেতা কর্মীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি হুট করে অনুষ্ঠানে এসে পড়েন তাদের তো আর সরিয়ে দিতে পারি না। একজন লোককে তো আর অপমান করা যায় না।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন