অনলাইন ডেস্ক : টানা পাঁচ দিন পর জম্মু ও কাশ্মীরে অচলাবস্থার আংশিক অবসান করা হলো। শুক্রবার সকালে ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট আংশিকভাবে চালু করা হয়। এবং শুক্রবারের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে চলাচল-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়।সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবসান ঘটানো এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পর যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আগাম সতর্কতাস্বরূপ হাজার হাজার সুরক্ষাকর্মী কাশ্মীর উপত্যকায় কড়া নজর রাখছে।
শ্রীনগরের জামা মসজিদের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে এটা বোঝা যাচ্ছে যে নগরীর প্রধান মসজিদে নামাজ আদায়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। অভ্যন্তরীণ ছোট ছোট মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। তবে সব মসজিদের আশপাশের অঞ্চলে প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, কোনো সমস্যা ছাড়াই নামাজ আদায় সম্পন্ন হলে ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে কাশ্মীরের অচলাবস্থা অনেকটাই শিথিল করা হতে পারে।
রাজ্য পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘স্থানীয়দের আশপাশের মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো বাধা নেই। তবে তাদের স্থানীয় এলাকার বাইরে অন্য অঞ্চলে যাওয়া উচিত নয়।তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করা হলেও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতা এখন সরকারি হেফাজতেই রয়েছেন। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আগামী সপ্তাহে ঈদ উৎসব ও নামাজ আদায়ের জন্য বিধিনিষেধ নমনীয় করা হবে।