Home » মেরে ফেলার হুমকি আশফাক হোসেইন চৌধুরীকে

মেরে ফেলার হুমকি আশফাক হোসেইন চৌধুরীকে

বিয়ানীবাজার উপজেলার দক্ষিণদুবাগ গ্রামের আশফাক হোসেন চৌধুরী নির্যাতনের শিকার দক্ষিণ দুবাগ গ্রামের আশফাক হোসেন চৌধুরী সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নিজ ইউনিয়ন পরিষদের  কিছু আওয়ামীলীগ নামধারীর সহযোগীতায় নির্যাতন চালিয়ে তার মালিকানাধীন দোকানঘরে ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এখন তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।


লিখিত বক্তব্যে আশফাক হোসেন চৌধুরী বলেন, বিয়ানীবাজার দুবাগ বাজারে আমার দু’টি দোকান ঘর রয়েছে। প্রায় ৬মাস পূর্বে আমি আমার দোকানকোঠা ক্রয় করে সফলতার সহিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি। সম্প্রতি সময়ে পূর্ব  সত্রুতার জের ধরে  রাজনৈতিক ফায়দা  হাসিলের  জন্য রাত অনুমান ১১ ঘটিকায় দোকান বন্ধ করে প্রতি দিনের মত বাড়ি যা্ওয়ার পথে একদল সন্ত্রাসী রাস্তা আটক করে আমাকে  বেদরক মারধর করেন ।  


তিনি বলেন, খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ও স্থানীয় ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্র্শন করেন । বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ী এলাকার লোকজনকে নিয়ে আলোচনায় বসে পুলিশ। এতে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় আমি যেন বিয়ানীবাজার থানায়  সাধারণ ডায়রী  করি । তাদের কথা মত আমি সাধারণ ডায়রী  করি । এ বিষয়টি আমি পুলিশকে অবগত করে বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়রি করি।

কিন্তু, গত ০৩ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে রাত অনুমান ১টার দিকে তারা আমার দোকান দু’টিতে ভাংচুর চালিয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে মোবাইলে বিষয়টি জানাই।
এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। (সিআর মামলা নং-১০১/১৪)। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, পুলিশের আইজি, সিলেটের ডিআইজি ও র‌্যাব-৯ বরাবরে লিখিত অভিযোগও দেন। আদালতের নির্দেশে বিয়ানীবাজার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামলাটি তদন্ত করেন।


তিনি অভিযোগ করেন, আদালতে মামলা বিচারাধীন অবস্থায় গত ২১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় দুবাগ বাজারের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ধরে নিয়ে তার উপর নির্যাতন করা হয়। পরে ইউনিয়ন অফিসের বারান্দায় নিয়ে তারা পেছনে হাত নিয়ে বেঁধে রাখে এবং দফায় দফায় নির্যাতনের স্টীমরোলার চলে। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার  থানার একটি দল পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায়ও তিনি সিলেট জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।


তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করছে। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, যেকোন সময় আমার কিংবা আমার পরিবারের উপর আবারও হামলা চালাতে পারে। তাই সনত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমি সিলেটের ডিআইজি, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-৯ সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *