স্বামী-সন্তানসহ থাকেন ইতালিতে। এবার ঈদ করবেন বলে দেশে এসেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। দেশে ফিরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন হাফসা বেগম লিপি। পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতে মারা যান তিনি।হাফসা লিপির শ্বশুরবাড়ি শরীয়পুরের ভেদরগঞ্জে। তিন সপ্তাহ আগে তিনি স্বামী-সন্তান নিয়ে দেশে বেড়াতে আসেন বলে জানিয়েছে মৃতের স্বজনরা।
হাসপাতালের পরিচালক জসিমউদ্দিন খান জানান, গত সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে হাফসাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। সেখানে চার দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আইসিইউতে থাকা অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
জানা গেছে, হাফসার স্বামী সর্দার আব্দুল সাত্তার তরুণ (৩৬) নিজেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুই সন্তান অলি (১২) ও আয়ানকে (৬) নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে দেশে এসে কলাবাগানে উঠেছিলেন তারা।সাত্তারের বড় বোন ডা. নুরুন্নাহার বলেন, ‘ঢাকায় আসার পরপরই জ্বরে পড়েন তার ভাই। তার অসুস্থতার মধ্যেই হাফসার জ্বর আসে। গত ২৮ জুলাই এনএস১ পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই বাসায় অসুস্থ বলে হাফসা স্বামীর সঙ্গে বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে তার অবস্থা খারাপের দিকে যায়। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওইদিনই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে হাফসা। আজ মঙ্গলবার সকালে হাফসার মৃতদেহ নিয়ে শরীয়তপুরে তার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা। শরীয়পুরের ভেদরগঞ্জ থানার সর্দার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে হাফসাকে দাফন করা হবে বলেও জানান নুরুন্নাহার।
প্রতিনিধি