সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় শনিবার নতুন করে জেলার ৬টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় শনিবার জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ।
গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-সালুটিকর, হাতিরপাড়া-ফতেহপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গোয়াইনঘাট উপজেলা শহরের সাথে ওই এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে ১৭ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি আমলসীদে ১৭ সেন্টিমিটার, শেওলায় ১৫ সেন্টিমিটার, শেরপুরে ৩ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি সারিঘাটে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে প্রতিটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
এদিকে, সিলেটে বন্যা কবলিত ৬ উপজেলার জন্য ৫০০ টন চাল ও নগদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী মজুমদার। এর মধ্যে শনিবার ৬ উপজেলায় ৫৯ মেট্রিক টন চাল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল রবিবার সকালে ২ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার জেলা প্রশাসনের হাতে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি। প্রতিটি কার্টুনে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সোয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ৫০০ গ্রাম নুডলস, ১ ডজন মোমবাতি ও ১টি দেয়াশলাই থাকবে।