Home » জুলুম অার কত সহ্য করবেন?

জুলুম অার কত সহ্য করবেন?



একবার ভাবুনতো অাপনি বাড়িতে অাসার জন্য সম্পূর্ণ ভাড়া দিবেন কিন্তু বাসের স্টাফ অাপনাকে উঠতে দেয় না,
তাহলে কি অামরা পানিউমদা, পুটিজুরি, অাউশকান্দি গন্তব্য বলে পাপ করেছি? এটা কি অামাদের দুষ?

কলেজের ছাত্রীরা রীতিমত এমন অহরহ কষ্ট সহ্য করতে হয়।

পরীক্ষা বিকাল ৫ টায় শেষ করে বাসে উঠতে না দেয়ায় বাড়িতে একটি মেয়ে অাসতে রাত ৯ টা বেজে যায়।
দিনারপুর পরগনা সহ এই হাইওয়ে রোডের হবিগঞ্জ লেখাপড়া করে এমন ছাত্র/ছাত্রী প্রতিদিন তাদের নিকৃৃষ্ট নিম্ন খারাপ অাচরনের শিকার হন।

কলেজ থেকে বাস মালিক সমিতির সাথে ডিল হয় ছাত্র/ছাত্রীদের ভাড়া অর্ধেক নেয়ার জন্য। কিছু ছেলেরা বেশির ভাগ সময় দিলেও, সব মেয়েরা অর্ধেক ভাড়া দিতে পারে না। তাদের সম্পূর্ণ ভাড়া দিতে হয়।

একবার ভাবুন তো অামি পানিউমদা অাসব বলে চলন্ত বাস থেকে অামাকে টান মেরে নামানু হয়। ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। কেন অামি কি স্টপিজ ছাড়া নামব?
অামি কি বিনা ভাড়ায় যাব?

শুনুন অাপনি ভাড়া ৫৮টাকার মধ্যে ৫৫টাকা দিলে তারা নিবে না। অাপনি দাড়িয়ে যান, নাকি ছাদে, অথবা বক্সে বসে যান, ভাড়া দিতে হবে ৫৮। উল্টো তারা ৬০টাকা রাখবে, কিন্ত অাপনার ৫৫টাকা রাখবে না।
১০০টাকার নোট দিয়ে হাফ ভাড়া বললে ও অনেক মেয়েদের টাকা ৪০ ফিরে অাসে। কারন জানতে চাইলে? ভাড়া অর্ধেক দিতে হলে ভাংতি নিয়া উঠবা। পরে লজ্জায় অার কোনো মেয়ে কথা বলে না।

তাদের শক্তির এবং খারাপ অাচরনে শিখার হন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, একা একা ক্ষুব্দ মনে রেগে প্রতিবাদ করার ইচ্ছা থাকলেও কেউ মুখ খোলেন না। কষ্ট করে প্রতিদিন নিজের হালাল উপার্জনের টাকায়, হয়রানির শিকার হয়ে গন্তব্যে পৌছাতে হয়।

এবার নিচে পড়ুন:
এক্সপ্রেস পরিবহন নবীগঞ্জের যাত্রীদের যাত্রীই মনে করে না, ইদানিং নবীগঞ্জের যাত্রীদের সাথে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের বিরতিহীন বাসের অনিয়ম ও যাত্রী হয়রানি চরম আকার ধারণ করেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাইপাসে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস বিরতিহীন বাসের যাত্রী উঠানামার জন্য ষ্টেশন রয়েছে নবীগঞ্জের সীমান্তের শেরপুর-সৈয়দপুর বাজার, আউশকান্দি, পানিউমদা ও বাহুবলের পুঁটিজুড়ি বাজার রয়েছে।

এসব ষ্টেশন থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ও ছাত্র-ছাত্রী বিভাগীয় শহর সিলেটে প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করেন। সিলেট থেকে আসার পথে নবীগঞ্জের যাত্রীদের সাথে প্রতিদিনই টিকেট ও সিটে বসা নিয়ে হেলপার, সুপারভাইজার ও বাস কাউন্টারের ম্যানেজারের সাথে ঝগড়াঝাটি হয়।

নবীগঞ্জের যাত্রীদের সিলেট শহরের কদমতলী বাস কাউন্টারে টিকেট পেতে খুবই ঝামেলা পোহাতে হয়। টিকেট চাইলে ম্যানেজার সাব বলেন, সব টিকেট শেষ। দিন দিন ওরা সৈয়দপুর, আউশকান্দি ও পানিউমদার যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে।

আসলেই আমাদের কি দেখার কেউ নেই ?
নবীগঞ্জের অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই পরিবহনের বিকল্প পরিবহন ও লাইন আনার দাবী জানাচ্ছি আপনাদের কাছে।

অামি অামাদের পরগনার ছাত্র/ছাত্রী,দল মত নির্বিশেষে সকল সাধারণ জনতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অার কত সহ্য করবেন? অার কত নিরব থাতবেন? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দাবি আদায়ের জন্য একটা মানববন্ধন করতে হবে।

—–এ.কে.জোবায়ের

লেখকের ফেসবুক থেকে পাওয়া


A.K. Jubayer

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *