জালালাবাদ থানার চাঁনপুর লামাকাজী গ্রামের মো. আমির আলীর স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগম রানী বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও প্রাণে মারার ঘটনায় দেবরের বিরুদ্ধে এস.এম.পি পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২৯ মে বুধবার ফেরদৌস আরা বেগম রানী তার আপন দেবর মো. সাজ্জাদ আলী ও মো. আনোয়ার আলী পরিবারকে অভিযুক্ত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবরে এ অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. সাজ্জাদ আলী ও তার স্ত্রী আরিফুল বেগম এবং মো. আনোয়ার আলী ও তার স্ত্রী নাদিরা বেগম ও আমি একই ভবনে বসবাস করে আসছি। তারা আমার ও আমার সন্তানদের স্বামীর বসতবাড়ি থেকে বের করে দিতে নানা পায়তারা করে আসছে। তাদের সাথে আমার পূর্বেও বিরোধ ছিল। গত ২৬ মে সকাল ৮টায় সন্তানদের খাবার তৈরীর জন্য আমি বসত বাড়ীর রান্না ঘরে ছিলাম। ঐ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে মো. সাজ্জাদ আলী ও তার স্ত্রী আরিফুল বেগম, মো. আলী আনোয়ার আলী ও তার স্ত্রী নাদিরা বেগম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন লোক মিলিত হয়ে হাতে লাঠি সোটা, দা, লোহার রড, কাঠের রুল ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমন করে। তাদের এলোপাথাড়ি মারধরে আমি মাটিতে পড়ে গেলে আরিফুল বেগম আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার শোর-চিৎকার শুনে আমার ছেলেরা সহ আশপাশের লোকজন আসলে তারা পালিয়ে যায়। মামলা মোকদ্দমা করলে প্রাণে মারার হুমকিও প্রদান করে। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলেরা আমাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন সহ জানমালের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করার হুমকিও প্রদান করেন তারা। আমি পরিবারের লোকজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করে আসছি। তারা যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের ক্ষতি করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নির্বাহী সম্পাদক