সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সুরমা গেইট, শাহপরান, খাদিম চৌমুহনা, বাইপাস হক কমিউনিটি সেন্টারের সামন থেকে কয়েকটি এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহ ১৫-২০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে সন্ত্রাসীরা মহড়াকালে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজনাও দেখা দেয়। শাহপরান থানা পুলিশও মহড়াকালে নিরব ভুমিকা করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- সাজানো ঘটনায় খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সালিশ ব্যক্তিত্ব ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল আলী নেপুর মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর ওসি আক্তার হোসেনের উপর ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ইউপি চেয়ারম্যান আফসারের যোগসূত্রতা আনেন নেপুর মিয়ার স্ত্রী হারুন বেগম। এ ঘটনার পর রাতে ওসি আক্তার ও চেয়ারম্যান আফসারের পক্ষে সন্ত্রাসীদের একটি পক্ষ মধ্যরাতে লাঠিসোটা নিয়ে বের হয়। শাহপরান গেইটে অবস্থান নিয়ে তারা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিলাল সহ আওয়ামী লীগের নেতাদের গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তারা বাইপাস হক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে আবুল হাসনাতকে গালিগালাজ করে। এ সময় স্থানীয় মুসল্লীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সন্ত্রাসীরা চলে আসে।
এদিকে- গতকাল বুধাবর দুপুরে খাদিম পাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিলাল ও আবুল হাসনাত সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার দক্ষিনের কার্যালয়ে গিয়ে সন্ত্রাসীদের মহড়ার বিষয়ে অভিযোগ জানান। এ সময় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। বেরিয়ে এসে নজরুল ইসলাম বিলাল জানিয়েছেন- পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করায় এলাকায় শান্তি ফিরেছে। ফের মহড়া হলে খাদিমপাড়া এলাকার পরিবেশ অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।