কথা না রাখার অভিযোগ এনে ওয়ালটনের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কাজে আগ্রহ দেখিয়ে বর্তমানে পিছিয়ে গেছে। এতে আমি মর্মাহত হয়েছি। তাই ওয়ালটনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করছি।’
‘ওয়ালটনের সাথে সম্পর্ক নেই বিষয়ে অবহিতকরণ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিযোগ, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যুক্ত থাকবে বলে ওয়ালটন কথা দেওয়ায়, তিনি এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন, অথচ গত তিন-চার বছর তাকে কোনও শোরুম উদ্বোধনে না ডাকার ফলে, তিনি বিভিন্ন জায়গায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নিয়ে কথা বলতে পারছেন না। এমনকি দক্ষ ও শিক্ষিত গাড়িচালক তৈরির বিষয়ে ওয়ালটনের সঙ্গে একটি প্রকল্প চলমান থাকলেও এখন এসব আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার সঙ্গে ওয়ালটনের আর কোনও ধরনের সম্পর্ক নেই।
এদিকে, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সঙ্গে সবসময় থাকার অঙ্গীকার করেছে, এমন চুক্তির কাগজ ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে আছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, ‘উনার সঙ্গে দক্ষ চালক তৈরির বিষয়ে আমরা কাজ করেছি, কিন্তু কতজন চালক বের হচ্ছে তার কোনও তথ্য উনি ঠিকমতো দিতে পারেননি।’
হুমায়ুর কবীর বলেন, ‘ইলয়াস কাঞ্চন কেবল আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। চলতি মাসে আমরা তার সঙ্গে থাকা চুক্তি নবায়ন করিনি। ফলে তিনি এখন আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও নন। ওয়ালটন আজীবন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সঙ্গে থাকবে, এমন কোনও চুক্তি উনি দেখাতে পারবেন কিনা জিজ্ঞেস করেন।’
এর আগে সকালে সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘গত ৩-৪ বছর ধরে ওয়ালটন শো রুম উদ্বোধনে আর তাকে ডাকা হচ্ছে না। ফলে জনগণকে সড়ক দুর্ঘটনা নিরসনে উদ্বুদ্ধ করা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওয়ালটনের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার তার যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন আহ্বান জানান, যদি কোনও প্রতিষ্ঠান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসেন, তাহলে দেশের সড়কে বিদ্যমান নানা সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান