বাকলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান।
গ্রেপ্তার মো. মুছা (৪০) ও আহমদ কবির (৪২) দু্জনেই ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
গত শনিবার রাতে বাকলিয়ার বলিরহাট বজ্রঘোনা এলাকায় মদিনা মসজিদের পাশে এক বাড়িতে ঢুকে বুবলি আক্তার নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
পরে পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুবলিদের বাড়িতে হামলা করেছিল স্থানীয় কয়েকজন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বুবলির ভাই রুবেলকে হত্যা করা। শ্বশুড়বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা বুবলি ওই সময় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন।
বুবলির বাবা নোয়া মিয়া শনিবার রাতে বাকলিয়া থানায় যে হত্যা মামলা দায়ের করেন, সেখানে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে নাম থাকা ছয় আসামি হলেন- শাহ আলম, তার ভাই নূর আলম (২৫), নবী হোসেন (৬০), মো. জাবেদ (২৪), মো. মুছা (৪০) ও আহমদ কবির (৪২) ।
তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি শাহ আলম ওই রাতেই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। শাহ আলমের ছোট ভাই নূল আলম (২৫) ও তাদের সহযোগী নূল নবীকে (৬০) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, “মুছা ও আহমদ কবির পালিয়ে তাদের দুই স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সুবিধাজনক সময়ে এলাকা ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনায় ছিলেন তারা। কিন্তু নূর আলমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।”
পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে পারলেও আসামি জাবেদ এখনও পলাতক বলে জানান ওসি।
মামলার এজাহারে নোয়া মিয়া বলেছেন, তার ছেলে রুবেল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। শনিবার রাতে শাহ আলম দলবল নিয়ে রুবেলকে খুঁজতে তাদের বাসায় যায়। বুবলি তাদের বাধা দিলে তার ‘মুখে পিস্তল ঠেকিয়ে’ গুলি করে শাহআলম।
শাহ আলমকে ওই এলাকার একজন ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী’ হিসেবে বর্ণনা করে মামলার এজাহারে বলা হয়, রুবেলের কাছে টাকা দাবি করে তা না পেয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় সে।
নির্বাহী সম্পাদক