পাঁচ তারা হোটেলে ঢুকে হামলা চালানো তিন জঙ্গিকে খতম করল পাক সেনা৷ একই সঙ্গে হোটেলে থাকা অধিকাংশ অতিথিকে নিরাপদ জোনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ যারা এখনও আটকে পড়ে আছেন তাদেরকেও বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে৷ জঙ্গিরা ছাড়া আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে৷ মৃত ব্যক্তি হোটেলের নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে কাজ করত৷ জঙ্গিদের হোটেলে ঢুকতে বাধা দেওয়ার সময় তাদের গুলিতে প্রাণ হারায় সে৷
পাকিস্তানের গোয়াদারের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলটি আরব সাগরের তীরে বন্দর শহরে অবস্থিত। বহু পর্যটক নিত্যদিন ওই হোটেলে আসেন। এদিন আচমকাই হোটেলে ঢুকে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা৷ গুলির শব্দে পর্যটকরা ভয়ে ছুট লাগান৷ সূত্রের খবর, জঙ্গিরা বেশ কিছু বিদেশি পর্যটককে বন্দিও বানায়৷ এদিকে হোটেলে জঙ্গিহানার খবর পেয়ে পাঠানো হয় প্যারামিলিটারি ফোর্স৷ শুরু হয় হোটেলটিকে জঙ্গিমুক্ত করার অভিযান৷
সেদেশের মিডিয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে, হোটেলে ঢুকেই নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে৷ জঙ্গিরাও পাল্টা আক্রমণ করে৷ অবশেষে কয়েকঘণ্টার অপারেশন শেষে তিন জঙ্গিকে খতম করে পাক সেনা৷ এখনও হোটেলে প্রচুর পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ পাঁচ তারা হোটেলে হামলার দায় স্বীকার করে নিল বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে গোয়াদারের হোটেলে হামলার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
ওই হোটেলে চিন এবং অন্যান্য অনেক দেশের পর্যটক আসে। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে চীনের প্রভাব মেনে নিতে পারেনি বিএলএ। সেই কারণেই এই হামলা চালান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএলএ মুখপাত্র জিহান্দ বালোচ। তিনি বলেছেন, “চীনা এবং অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারী থাকা ওই পিসি হোটেলে হামলা চালিয়েছে আমাদের যোদ্ধারা।”
গোয়াদার বন্দর শহর পাকিস্তানের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একটা বড় ভূমিকা রাখে। ইতিমধ্যেই গোয়াদারে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছিল চিন। সমগ্র বন্দর শহরের পরিবহণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বেজিং। উত্তরের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের সঙ্গে গোয়াদর বন্দরকে যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চীন। বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হলে তা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সেটিই চাইছে বেজিং।
বার্তা বিভাগ প্রধান