রমজান মাসে পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনা দর্শনের জন্য পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হোক৷ সৌদি আরব সরকারের কাছে এমনই দাবি জানাল অপর মুসলিম রাষ্ট্র কাতার৷ তীব্র কূটনৈতিক সংঘাত চলছে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে৷ সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগে সৌদি সরকার সরাসরি কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ৷ তার পরই আরব দুনিয়া তথা মুসলিম বিশ্বে ছড়ায় আলোড়ন৷ এবার পবিত্র রমজান চলাকালীন সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে কাতারি নাগরিকদের ধর্মাচারণের জন্য সুযোগ নিয়ে বাড়ছে কূটনৈতিক তরজা৷
২০১৭ সালে সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী,বাহরান ও মিশর একযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এর ফলে কাতারের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশপথ ছিন্ন হয়ে যায়৷ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কাতার। সৌদি সরকার কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ এনেছে৷ যদিও কাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, কাতারে সরকার পরিবর্তনের জন্য আরব দেশগুলো একসঙ্গে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরব জানায়, ইলেক্ট্রনিক্স রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কাতারের নাগরিকদের পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ করার সুযোগ দেয়া হবে। তবে কাতারের নাগরিকদের জেদ্দা অথবা মদিনা বিমানবন্দরে নামতে হবে। এরপর দোহা সরকার কাতারি নাগরিকদের পূর্ণ মর্যাদায় হজ করার সুযোগ দিতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানাল।
কাতারের ধর্ম মন্ত্রনালয় বৃহস্পতিবার সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে, কাতারি নাগরিকদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ দিতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। সৌদি সরকারের আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কাতারের নাগরিকরা মুসলিম বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো মুক্তভাবে হজ এবং ওমরাহ করতে পারছেন না। সৌদি সরকারের আরোপ করা এসব নিষেধাজ্ঞাকে কাতার বৈষম্যমূলক আচরণ বলেছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান