ইয়াঙ্গুনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে নামছে মিয়ানমার এয়ারক্রাফট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ। এই তদন্তে দেশটিকে সহায়তা করবে বাংলাদেশের এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভিস্টিগেশন গ্রুপ (এএআইজি)। দুটি সংস্থার মধ্যে এ বিষয়ে চিঠি আদান প্রদান হয়েছে। শনিবার মিয়ানমার যাচ্ছেন বাংলাদেশের এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপের (এএআইজি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন এম রহমতউল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপের (এএআইজি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন এম রহমতউল্লাহ বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে চিঠি দিয়েছি, তারাও আমাদের দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশনের (আইকাও) অ্যানেক্স ১৩ অনুসারে যে দেশের বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হবে সেদেশের প্রতিনিধি তদন্ত কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবে। আমি শনিবার মিয়ানমার যাবো, পরবর্তীতে কমিটিতে আরও প্রতিনিধি যুক্ত হতে পারবে।’
দুর্ঘটনা তদন্তে বিমানের কমিটি
মিয়ানমারে বিমানের একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার বিষয়টি তদন্তে কমিটি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সংস্থাটির চিফ অব ফ্লাইট সেফটি শোয়েব চৌধুরীকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে।
কমিটিতে আরও রয়েছেন, বিমানের ম্যাজোর (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ) নিরঞ্জন রায়, ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন সৈয়দ এম মুয়িম, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (লাইন মেইন্টিন্যান্স) মোহাম্মদ হানিফ, ম্যানেজার (ফ্লাইট সেফটি) মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে ইয়াঙ্গুনগামী ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের ফ্লাইটটি (বিজি ০৬০) বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়। এ ঘটনায় ১৯ যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে মিয়ানমারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান