আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময় প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদ স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। এবারে বিআরটিসি’র বহরে যুক্ত হবে নতুন কেনা আরও দেড় শতাধিক বাস। এছাড়া কোথাও যানজট কিংবা পরিবহনের সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিআরটিসি’র অতিরিক্ত বাস প্রস্তুত রাখা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রস্তুতি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব শ্রেণির মহাসড়কের মেরামত কাজ ঈদের সাতদিন আগে শেষ করা হবে। সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মোবাইল কোর্ট কার্যকর থাকবে।
সচিব জানান, যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে বিআরটিএ’র ভিজিল্যান্স টিম কার্যকর থাকবে। ঈদের আগের দিন যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে গার্মেন্টস কারখানাগুলো ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার জন্য বিজিএমইএ’কে অনুরোধ করা হবে। ঈদের সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে টোলপ্লাজাগুলোতে সব বুথ চালু রাখা হবে। কঠোরভাবে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা এবং সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ঈদের আগে তিন দিন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, গার্মেন্টসামগ্রী, পচনশীল দ্রব্য, ওষুধ এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
সচিব জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সড়ক-মহাসড়ক অপেক্ষাকৃত ভালো। তাই এবার ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত স্বস্তিদায়ক হবে। সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএ’র চেয়াম্যান মো. মশিয়ার রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক এবং ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির নেতা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান