মিয়ানমারের ইয়াংগুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যেসব যাত্রী আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা খরচ ও ক্ষতিপূরণ দেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
শাকিল মেরাজ বলেন, ‘বিমানটি বীমার আওতায় রয়েছে। বীমার শর্ত অনুসারে আহত যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে কে কতটা আহত হয়েছেন এসব পর্যবেক্ষণ করে বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের সব ধরনের সেবা ও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বিমানের পক্ষ থেকে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাসও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীদের সার্বিক বিষয়ে তদারকি করছে, তাদের খোঁজখবর রাখছে।’
১৪ জন মিয়ানমারে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান শাকিল মেরাজ। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেই ফ্লাইটে বাংলাদেশের ১৫ জন, চীনের পাঁচ জন, মিয়ানমারের তিন জন, ডেনমার্কের একজন, ফ্রান্সের একজন, ব্রিটেনের দু’জন, কানাডার একজন ও ভারতের একজন যাত্রী ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চীনের দু’জন, মিয়ানমারের দু’জন, ভারতের একজন, কানাডার একজন ও বাংলাদেশের ১২ জন যাত্রী।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ইয়াঙ্গুনগামী ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের ফ্লাইটটি (বিজি ০৬০) ঢাকা থেকে বুধবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ত্যাগ করে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়। এ ঘটনায় ১৯ যাত্রী আহত হন।
বার্তা বিভাগ প্রধান