দেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এর ফলে আজ সোমবার তারাবির নামাজে দাঁড়াবেন দেশের লক্ষ-কোটি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। প্রতিটি মসজিদে এশার নামাজের পরই অনুষ্ঠিত হবে তারাবির জামাত। তবে খতম তারাবির নামাজ পড়ানোর ক্ষেত্রে মসজিদে মসজিদে ভিন্নতা থাকায় কর্মজীবী মুসল্লিদের কোরআন খতম হয় না বলে এ বিষয়ে সারাদেশে এক নিয়ম অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের বিশিষ্ট আলেমরা জানিয়েছেন, তারাবির নামাজ রমজান মাসকে ঘিরে একটি ঐচ্ছিক নামাজ। ২০ রাকাতের এই নামাজ সুরা পড়ে যেমন পড়া যায় তেমনই দেশের বেশিরভাগ মসজিদে এই নামাজে কোরান শরিফ ১ম রমজান থেকে ২৭ রমজানের মধ্যে পাঠ করে খতম করা হয়। একে খতম তারাবি বলা হয়। তবে তারাবির নামাজে কোরান শরিফ থেকে প্রতিদিন কতখানি অংশ তেলাওয়াত করতে হবে তার সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
তারা জানান, সমস্যাটাও দেখা দিয়েছে এখানে। সুনির্দিষ্ট নিয়ম না থাকায় কোনও মুসল্লি যদি কাজজনিত কারণে একাধিক মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে বাধ্য হন তাহলে তিনি তারাবির নামাজ পড়লেও তার নিয়ত থাকা সত্ত্বেও কোরান শরিফ খতম হবে এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
এ কারণে দীর্ঘদিন থেকে ঘটে আসা এই সমস্যা নিরসনে গত কয়েকবছরের মতো এবারও দেশের সব মসজিদে একই নিয়মে খতম তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদগুলোর ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তেলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনও কোনও মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে কর্মজীবী যারা বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন তাদের কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কুরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তেলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে অর্থাৎ পবিত্র লাইলাতুল কদরে কুরআন খতম করা সম্ভব। এর আগে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম, পীর-মাশায়েখ ও খতিব-ইমামদের সঙ্গে আলোচনা হলে তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবিহ্ পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন এবং সে মোতাবেক অধিকাংশ মসজিদে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান