নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় অবস্থিত সরকারের খুব গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটির সার্বিক কার্যক্রম চালাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে আবহাওয়াবিদদের। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় তাদের যন্ত্রপাতিগুলো কাজ করেনা। নিজস্ব যে ব্যাকআপের ব্যবস্থা আছে, তাও বড়জোর ঘন্টাখানেকের। এতে সার্বিক কার্যক্রম চালানো প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে সিলেট আবহাওয়া অফিসের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার সারাদিন যখন সচেতন মানুষ ও মিডিয়ার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল বাংলাদেশের দিকে, তখনো কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারনে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারেনি সিলেট আবহাওয়া অফিস। ঘনঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতো ছিলই, বিকেলের দিকে ছিলনা দুইঘন্টারও বেশী সময়।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের ব্যাকআপের চেয়েও অনেকক্ষন বেশি বিদ্যুৎ না থাকার কারণে যথাসময়ে বৃষ্টির পরিমাণ যেমন জানতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তেমনি ভূমিকম্পের ব্যাপারেও কোন তথ্য তারা তাৎক্ষনিক জানতে পারেন নি। সংবাদপত্র অফিসগুলো থেকে ফোন পেয়ে ভূমিকম্পের বিষয়টি জেনে বিদ্যুৎ আসার পর তারা সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে ও ধরতে পেরেছেন বলে জানালেন একজন আবহাওয়াবিদ। এতে তারা মারাত্মক অস্বস্তিবোধ করেছেন।
শনিবারের ভূমিকম্প সম্পর্কে তার মন্তব্য, এটিও যথাসময়ে আমরা জানতে পারিনি বিদ্যুৎ না থাকায়। অনেক পরে জেনেছি, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে শনিবার বিকেল পৌণে ৬টার দিকে ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

বার্তা বিভাগ প্রধান