অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। প্রচণ্ড গরমে গুমোট ভাব বিরাজ করছে। জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাদের স্মৃতিতে আসছে ভয়াবহ আইলা ও সিডরের তাণ্ডব।এরই মধ্যে ‘ফণী’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবিলায় উপকূলে লাল পতাকা উড়িয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৩৭টি সরকারি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা খালি করে রাখা হয়েছে।আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য শুকনো খাবার ও ওষুধপত্র মজুদ করা হয়েছে। ৮৫টি মেডিকেল টিম এবং সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।এরই মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব আজ সকাল থেকে ভারতের ওডিশা প্রদেশে শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানের পুরি উপকূলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে দুপুরের পর থেকে। আজ মধ্যরাত নাগাদ সেটি খুলনা ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।এটি আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রতিনিধি