উপকূলের কাছে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ফণী। নেওয়া হচ্ছে সবরকমের সতর্কতা। পুরী থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। পাঠানো হয়েছে বিশেষ ট্রেনও। এই পরিস্থিতিতে বদল করা হল জগন্নাথ মন্দিরের ধ্বজা। ১৫ ফুটের দীর্ঘ পতাকা সরিয়ে লাগানো হল চার ফুটের একটি পতাকা। এই পতাকা সরানোর মাধ্যমেই পুরীতে জারি হল ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত। আগামী ৩ মে এই ঝড় দক্ষিণ পুরীর দিকে চলে আসবে। তখন এর গতিবেগ হতে পারে সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ৫ মে পর্যন্ত এই তাণ্ডব চলবে সাগর উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং সংলগ্ন শহর গ্রামে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে কলকাতা থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম এবং পুরীর ৫৪০ ,কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম , দীঘার ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে ফণী।
২০১৩ সালে দুর্গাষ্টমীর রাতে ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল ভয়াল ঘূর্ণিঝড় পাইলিন। অনেকে তার সঙ্গে ফেনির তুলনা টানতে চাইলেও মৌসম ভবনের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের বক্তব্য, এ বারের ঘূর্ণিঝড় পাইলিন নয়, হুদহুদ-এর চেহারা নিতে পারে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে হুদহুদের হানায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বিশাখাপত্তনম শহর।
ইতিমধ্যেই ওড়িশা সরকারের তরফে জারি হয়েছে সতর্কতা৷ গরমে ক্লান্ত, রোদে পুড়তে থাকা পুরী ও তার আশেপাশের সৈকত এলাকায় সকাল-বিকেল-সন্ধে নাগাদ পর্যটকদের সাগরে মাতোয়ারা খুবই সাধারণ বিষয়৷ কিন্তু ঝড়ের পূর্বাভাষে সেই সব বন্ধ৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হোটেলে থাকা পর্যটকদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার নির্দেশ এসেছে৷
মূলত পশ্চিমবাংলা থেকেই বেশি দর্শক-পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে পুরীতে৷ প্রশাসনিক নির্দেশ পেয়ে দ্রুত তাঁদের এলাকা ছাড়তে বলে দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, বাঙালি পর্যটকদের ফেরানো হচ্ছে ট্রেনে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরী স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেন ছাড়া হবে৷ সেটি খড়গপুর হয়ে ঢুকবে শালিমার৷ যাত্রাপথে ট্রেনটি খুরদা রোড, ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, কেন্দুঝর, ভদ্রক, বালেশ্বরে থামবে৷ সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি ভুবনেশ্বরে বেলা দেড়টায় ঢোকার কথা৷
বার্তা বিভাগ প্রধান