Home » ৪৩ বছরের মধ্যে এমন ভয়ঙ্কর ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি বঙ্গোপসাগরের উপকূল

৪৩ বছরের মধ্যে এমন ভয়ঙ্কর ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি বঙ্গোপসাগরের উপকূল

পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার হয়ে গেল৷ সাম্প্রতিক সময়ে তো বটেই, গত ৪৩ বছরে এখনও পর্যন্ত যতবার সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী আকার নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে ফনি – দ্য হিন্দু রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৪৩ সালের পর এতো শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকা।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফনি ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে ৩ মে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ওডিশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়বে ফনি , এই ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ। তারপর মুখ ঘুরিয়ে সেটি প্রবেশ করবে বাংলাদেশে৷ ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে৷

ফনি বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তনমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গত ৪৩ বছরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তারা এতটা শক্তিশালী আকার নেয়নি৷ পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৯৬৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে মোট ৪৬টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ সাধারণত ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এই ঝড় যে কোনও সময় সৃষ্টি হতে পারে। তবে সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শেষে অথবা মে মাসের দিকে এমন ঝড় দেখা দিলেও বেশিরভাগই নভেম্বরে হয়।

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি ধ্বংসাত্মক শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার দুপুরের দিকে সাগরের সামান্য উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফণী’র। প্রত্যেক বছর বিশ্বে মাত্র ২০ থেকে ৩০টি ঘূর্ণিঝড় এ ধরনের প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়ে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *