কয়েক দিন ধরেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ চেয়ে আছে আকাশের দিকে। যদি একটু আকাশ মেঘলা হয়। কিন্তু আবহাওয়া কার্যালয় আজও জানাচ্ছে, সারা দেশের জন্য এ ধরনের কোনো সুখবর নেই।
বরং আবহাওয়াবিদরা উল্টো আশঙ্কা করছেন, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আজ সেটি আরো চেতিয়ে চল্লিশের কাছাকাছি চলে যেতে পারে কোথাও কোথাও। এই গরম চলবে অন্তত আরো তিন দিন।
তবে আজ আবহাওয়ার কার্যালয়ের পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, শুধু সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এতে এই বিভাগে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা ও রাঙামাটি অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এ জন্য দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসের সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৬টায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান