২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ৩৫৯ জনের প্রাণহানির খবর বলে আসছিল শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নিহতের সংখ্যা আরও কম বলে জানায় দেশটি। লঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ২৫৩ জন। ১০০ জনেরও বেশি নিহত কমিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের দাবি, গণনার ভুল ও নিহতের পরিচয় উদঘাটনের জটিলতায় তারা ৩৫৯ জনের প্রাণহানির কথা বলেছিলেন।
লঙ্কান কর্তৃপক্ষ হামলার জন্য স্থানীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহিদ জামাতকে দায়ী করে আসছে। লঙ্কান গোয়েন্দারা জাহরান হাশিম নামের উগ্রবাদী ধর্মীয় নেতাকে হামলার মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করার দাবি করেছে। শ্রীলঙ্কার সরকার হামলায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে হামলার জন্য দায়ী না করলেও সংগঠনটি এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএস-এর ছবি সম্বলিত বিবৃতিতে হামলাকারী হিসেবে যে ৮ জনের কথা বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে একমাত্র হাশমিকেই দেখা গেছে মুখ খোলা অবস্থায়। আইএস-ও তাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে হাজির করেছে।
২০১৩ সাল থেকে লঙ্কান তরুণরা আইএসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা জানান, কর্তপক্ষ জঙ্গিগোষ্ঠীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪০ জনকে খুঁজছে। তিনি বলেন, পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে। সিরিসেনা আরও বলেন, আমি শ্রীলঙ্কা থেকে আইএসকে উৎখাত করব। এটা করার সামর্থ্য আমাদের পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর রয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার ও তল্লাশি অভিযান এবং ধর্মীয় স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনারা দায়িত্ব পালন করবে।
লঙ্কান পুলিশ জানিয়েছে, ইস্টার সানডের হামলায় জড়িত অভিযোগে ইতোমধ্যে তারা ৭৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সিরিয়া ও মিসরের নাগরিকও রয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান