ডেস্ক নিউজ: মারধরের শিকার কামাল হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।
কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকদিন থেকে তার মাথা ব্যথা করছিল। তাই তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলেন। দুপুর ২টার দিকে বাস থেকে নগরীর লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন তিনি।
“এ সময় রামেক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজু বাঙালিসহ ৫-৬ জন যুবক তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে নেন।”
কামাল বলেন, তারা তাকে অটোতে করে লক্ষ্মীপুরের বন্ধগেট এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে রড ও পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার শার্ট ও প্যান্ট খুলে উলঙ্গ ছবি তোলে। অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়েছে এই মর্মে তার কাছ থেকে জবানবন্দি নেয়।
এ সময় তার কাছে থাকা আড়াই হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন মারধরকারীরা নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন কামাল।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা সাজু বাঙালির মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে কামালকে দেখতে যাই। কামালের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি- মারধরকারীদের সঙ্গে কামালের পরিবারের দ্বন্দ্ব রয়েছে।”
এ দ্বন্দ্বের কারণেই কামালকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মাধ্যমে রামেক ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর বন্ধগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাহী সম্পাদক