সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ট্রাক চাপায় নিহত দুই সহোদরের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে এতিম তিন শিশুর। ঋণের বুঝা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী। এতো কিছুর পরও কোনো সাহায্য আসছে না। ঋণ থেকে মুক্ত হতে বিধবা সাজনা বেগম ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও নিস্তার পাচ্ছেন না। সাহায্য আসেনি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতি থেকেও।
২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সকাল ১০টায় হেতিমগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার গোঘারকুলের মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র সুরুজ আলী (৪৩) ও তার বড় ভাই ড্রিমল্যান্ড পার্কের নিরাপত্তা প্রহরী তরমুজ আলী (৩৫) নিহত হন।
নিহতের পর কোনো ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ওই দুই সহোদরের পরিবার অভাব-অনটনের দিন যাপন করছে। ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক ছিলেন সুরুজ আলী।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা ইসলামি ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা লোন ও টিভিএস মোটরসে কিস্তিতে বাকি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা। পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় নিহত সুরুজ মিয়ার দুই মেয়ে ও এক ছেলের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। ঋণের বুঝা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্ত্রী সাজনা বেগম (৩০)।
এদিকে সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির ফান্ড থাকলেও সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি গোলাপগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠন।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সমিতির সভাপতি মাখন মিয়া জানান শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৩ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো ১২ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে। সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষের পর চালক মারা গেলে ঋণ মওকুফের নিয়ম আছে বলে জানান মাখন মিয়া। এ বিষয়ে সমিতির বৈঠকে বসে আলোচনা করে এর একটা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
তবে সাজনা বেগম বলেন ঋণ মওকুফের জন্য ব্যাংক ও টিভিএসের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তারা ঋণ মওকুফ করবে না বলে জানান।
এদিকে নিহত সুরুজ আলীর স্ত্রী সাজনা বেগম বলেন ১০ হাজার ৫শ টাকা দেয়া হয় চাঁদা তুলে। শ্রমিক ফান্ড থেকে কোনো টাকা দেওয়া হয়নি।
নির্বাহী সম্পাদক