বাগেরহাটের রামপালে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় ওলিয়ার রহমান নামে মাদ্রাসার এক অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত দশটার দিকে উপজেলার শরাফপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
এর আগে একই মামলায় ফেরদৌস শেখ নামে এক মুদি দোকানীকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ফকিরহাটে নানা বাড়িতে থেকে রামপাল উপজেলার একটি মাদরাসার ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়ালেখা করছিল শিশুটি। মাদরাসার সামনের মুদি দোকানি ফেরদৌসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে গত ১১ এপ্রিল রাতে মুদি দোকানি ফেরদৌস মেয়েটিকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে শিশুটির এক মামা বাদী হয়ে মাদরাসা অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমান ও মুদি দোকানী ফেরদৌস শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেরদৌস শেখ ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার ফেরদৌস শেখ রামপাল উপজেলার শরাফপুর গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে। ওলিয়ার রহমান স্থানীয় শরাফপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাকি দুই আসামিকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করেছি। প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
নির্বাহী সম্পাদক