মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানি ও এর প্রতিবাদ করায় তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে মেরে ফেলায় গোটা দেশই শোক প্রকাশ করছে। শোক প্রকাশ করেছেন ঢালিউউ নায়িকা অপু বিশ্বাসও। একটি মেয়ের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি আসলে মেনে নেওয়ার মতো নয়। মসজিদ, মাদ্রাসা মানুষের জন্য সবচেয়ে শান্তির ও নিরাপদ স্থান। এমন জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা মুখে আনতেও বাধে। আমি জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড। আমাদের দেশে আইন করে ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি করা হোক মৃত্যুদণ্ড।’
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির (বানাসাস) পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার সম্মাননা গ্রহণের পর অপু বিশ্বাস এসব কথা বলেন। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অপু আরো বলেন, ‘যে দেশে আমরা নারীরা আজ মাথা উঁচু করে বেঁচে আছি, কাজ করছি, সেই দেশে যেন কেউ এমন অন্যায় করার সাহস না পায়, তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। নুসরাত কারো বোন, কারো মেয়ে। প্রতিটি মেয়েই কারো বোন বা মেয়ে। আমি মা হয়েছি, সেই হিসেবে আমি বুঝি সন্তানের এমন ঘটনা মায়ের জন্য কতটা কষ্টের। জাতির জন্য কতটার লজ্জার।’
অনুষ্ঠানে এরপর তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তি বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। বলেন, ‘যেকোনো সম্মাননা কাজের অনুপ্রেরণা দেয়। নতুন করে কাজ করার আগ্রহ জন্ম নেয়, দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের সংগঠন থেকে পাওয়া সম্মাননা আরো অনুপ্রেরণাদায়ক। তবে আমার আনন্দটা ম্লান করে দিল নুসরাত। নারীরা আজ শুধু শিশু জন্ম দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে না, সমাজের প্রতিটা কাজে তাদের অংশগ্রহণ রয়েছে। শুধু নারী নয়, সমাজের মানুষ হিসেবে আমি শোকাহত, এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গতকাল বুধবার রাতে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
প্রতিনিধি