Home » আমরা মহাকাশ জয় করেছি: শেখ হাসিনা

আমরা মহাকাশ জয় করেছি: শেখ হাসিনা

দেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার হাতে স্মার্টফোন। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। মহাকাশ জয় করেছি। এ ছাড়া আমাদের মহাকাশ গবেষণা প্রয়োজন। হয়তো আমরা মহাকাশে যেতে পারব। সবকিছু থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে গবেষণা। এ লক্ষ্যে আমরা এ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ চালু করেছি।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণায় চেকপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা যখন একটা যুদ্ধবিধস্ত দেশকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে। সেদিন পুরো পরিবারকে হারাই আমি। এসব আমাদের নতুন প্রজন্মের জানা দরকার। বোঝা দরকার জাতির পিতা দেশের জন্য কী কী করে গেছেন। তিনি যে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন আমাদের সে স্বাধীনতা গৌরবের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। এটা নিয়ে গবেষণা করে আমরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারি। এ জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান সাবজেক্ট চালু করা হয়েছে, হচ্ছে। সমুদ্র গবেষণার মাধ্যমে আমরা অমূল্য সম্পদ অর্জন করতে পারব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশ ও দেশের মানুষের শান্তিতে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গবেষণা করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। সবকিছুতেই সফলতা অর্জন করতে হলে অতীত জানার প্রয়োজন।

১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন তা সবারই জানা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন গৌরব আমাদের চলার পথে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এসব জানতে হলে গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে গবেষণা বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ জন্য আমরা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। এখান থেকে বিভিন্ন গবেষকদের বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে এ ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। যে কারণে অনেকের লেখাপড়া এবং গবেষণা বন্ধ হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ খুব কষ্টে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে গবেষণা এবং লেখাপড়া শেষ করে এসেছে। আসার পর অনেকে চাকরি হারিয়েছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি, কবি ও ছড়াকার ইয়াফেস ওসমান, সচিব প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *