আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত।
সোমবার (৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত কমিশনের ৪৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রায় দুই বছর পর ইসি ভোটার তালিকা হালনাগাদের উদ্যোগ গ্রহণ করলো।
এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকাল ৩টা থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে। সেখানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত হয়।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যাদের জন্ম ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তারও আগে, তারা হালনাগাদে নিবন্ধিত হতে পারবেন। হালনাগাদের পাশাপাশি ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটার যোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি যাদের জন্ম ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত, তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এবারের হালনাগাদে তারা ভোটার না হলেও পরবর্তীতে তাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হলে তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। অন্যদিকে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তারা ২০২০ সালের নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন দুই বছরের আগাম তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, যারা এর আগে ভোটার হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছেন এবং ছবি তুলেছেন কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, তাদের হালনাগাদের সময় নতুন করে ভোটার হওয়ার দরকার নেই।
ইসি প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে থাকলেও ২০১৮ সালে এটি হয়নি। জাতীয় নির্বাচনে ব্যস্ততার কারণে গত বছর হালনাগাদ হয়নি বলে ওই সময় ইসি থেকে জানানো হয়।
বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৪২ লাখ।
বার্তা বিভাগ প্রধান