টানা তিনদিনের অভিযান শেষে শুক্রবার বিরতী। দিনটিতে দক্ষিণ সুরমায় তেমন একটা হইহুল্লোড় ছিলনা। অবৈধ দখলদাররা হতাশাগ্রস্থ থাকলেও আতঙ্ক বা ছুটাছুটি করতে হয়নি তাদের। গত তিনদিনের তুলনায় বলা যায়, শুক্রবার দিনটি তাদের কিছুটা স্বস্তিতে কেটেছে।
শনিবারও তেমনই কাটবে। দুইদিনের সরকারি ছুটি শেষে রবিবার থেকে আবারো দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সিলেট মহানগরীর প্রবেশপথ হিসাবে খ্যাত দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে শুরু করে চন্ডিরপুল পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বহুদিন থেকে এই এলাকাটি দখল করে রেখেছিলেন ট্রাক চালক, মালিক ও শ্রমিকরা। তারা অবৈধভাবে ষ্ট্যান্ড গড়ে তুলেছিলেন। শুধু কি ষ্ট্যান্ড? গড়ে উঠেছিলো অবৈধ দোকানপাটও। একই অবস্থা ছিল, হুমায়ুন চত্বর থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত।
আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে বাইরে থেকে আসা পর্যটক এবং এলাকাবাসীকে এ নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হতো বা এখনো হচ্ছে। তাছাড়া সিলেট মহানগরীর যানজটের জন্যও অনেকাংশেই দায়ী ছিল এই অবৈধ দখলদারিত্ব।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রায়ই এই এলাকায় অভিযান চালানোর ব্যাপারে কথা বলতেন। অবশেষ কাংখিত সেই অভিযান শুরু হয় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে। সেদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হুমায়ুন চত্বর থেকে শুরু করে চন্ডিরপুল পর্যন্ত অংশে রাস্তার উভয় পাশে গড়ে উঠা অভৈধ দোকানপাট ও ট্রাক ষ্ট্যান্ড উঠিয়ে দেওয়া হয়ে। এসময় এলাকার লোকজনও সিসিক মেয়র, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা করেন।
পরদিনও একই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের হুমায়ুন চত্বর থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত অভিযান চলে।
এই এলাকায় রাস্তার উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়েতোলা হয়েছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশা ষ্ট্যান্ড, ট্রাক ষ্ট্যানড। এগুলোর পাশাপাশি গড়ে উঠেছিল চা-ষ্টল, পান সিগারেটের দোকান।
টানা ৩দিন অভিযান শেষে দক্ষিণ সুরমার এ দু’টি এলাকার দখল হয়ে যাওয়া মূল্যবান সম্পদ উদ্ধারের পাশাপাশি নাগরিক জীবনেও যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ ফিরিয়ে এসেছে।
তবে তা ক’দিন স্থায়ী হয় এনিয়ে কেউকেউ প্রশ্ন তুলছেন। তাছাড়া আরো অনেক জায়গায় কোটিকোটি টাকার সম্পদ এখনো দখল করে রাখা হয়েছে। এগুলো উদ্ধারেও অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক’র সাথে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রবিবার থেকে আবারো অভিযান শুরু হবে দক্ষিন সুরমা।
এদিকে উচ্ছেদের ব্যাপারে মেয়র আরিফের এমন জোরালো ও কার্যকর অভিযান নিয়ে সচেতন নাগরিকবৃন্দ সন্তোষপ্রকাশ করেছেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান