Home » ৮০ লিটার দুধ হয়ে যায় ২৫০ লিটার

৮০ লিটার দুধ হয়ে যায় ২৫০ লিটার

প্রতিদিন ৮০ লিটার দুধ কিনে ২৫০ লিটার বিক্রি করেন আরিফ হোসাইন। হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার (জয়নাব ক্লাবের পাশে) মোতালেব ভবনে ফ্যামিলি বাসায় দুধের ভেজাল কারখানা গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

আরিফের তৈরি এসব তরল দুধ প্রতিদিন কনটেইনারে ভর্তি হয়ে চলে যায় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে। কিছু যায় লোকজনের বাসাবাড়িতে আর কিছু বিক্রি করেন প্যাকেটজাত করে। আসল দুধের সঙ্গে গুঁড়ো দুধ আর পানি মেশানোর কারবারের হদিস পেয়েছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, বুধবার রাতে ফেসবুকের ইনবক্সে তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে গিয়ে জানতে পারি প্রতিদিন বাড়িতে ঢুকছে দুই কন্টেইনার (৮০ লিটার) তরল দুধ আর বের হচ্ছে ৮ কন্টেইনার (২৫০ লিটার) হয়ে। বাকিটা প্রতিভার স্ফুরণ। মিল্ক পাউডারের কারিশমা। রুহুল আমিন বলেন, এ কারিশমা সম্পর্কে প্রতারণাকারি আরিফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে বাড়িতে বসেই পাউডার ব্লেন্ড করে দুই গুণ পানি মিশিয়ে গরুর দুধ বিক্রি করে। তবে ভেজাল দুধ হিসেবে যেন কেউ চিনতে না পারে বা বুঝতে না পারে তার জন্য সে দুই ভাগ ভেজাল দুধের সাথে প্রতিদিন এক ভাগ খাটি গরুর দুধ মিশিয়ে থাকেন।

অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে প্রথমবারের মত সতর্ক করে দিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। তাছাড়া অভিযানে ২৫০ লিটার দুধ ও ৩৭ কেজি মিল্ক পাউডার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত তরল দুধগুলো এতিমখানায় দিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন।

এসব ভেজাল দুধ পানে কি ধরনের শারিরীক ক্ষতি হতে পারে এমন প্রশ্নে রুহুল আমিন বলেন, ক্ষতিকর দিকটা বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক মুঠোফোনে জানিয়েছেন এসব ভেজাল দুধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব দুধ খেলে পেটের পীড়া, ডায়রিয়ার পাশাপাশি কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *