জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা সম্প্রতি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ছেলে সানাউল্লাহ নূরে সাগরকে বিয়ে করেন। সাগর সালমার দ্বিতীয় স্বামী। তবে সালমাকে বিয়ে করার আগে সাগর ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ২০১৪ সালের ৩ জুন বিয়ে করেন বলে জানা গেছে।
সাগরের প্রথম স্ত্রী কক্সবাজারের মেয়ে। সালমার সঙ্গে সাগরের বিয়ের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের আগেই কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ প্রথম স্ত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাগরে প্রথম স্ত্রীর পরিবার।
প্রথম স্ত্রীর পরিবার জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর সাগর লন্ডনে যায়। লন্ডনে পৌঁছার পর সাগর আর যোগাযোগ করেনি। সাগরের খবর জানতে প্রথম স্ত্রী ফোন দিলে সাগর খাবার আচরণ করে। পরে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা করা হয়।
আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরে সাগরের সঙ্গে কক্সবাজারের মেয়ের ২০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাগর। শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন।
মেয়ের কথা চিন্তা করে সাগরকে ৩ কিস্তিতে ১০ লাখ দেন প্রথম স্ত্রীর পরিবার। সেই টাকায় সানাউল্লাহ নূরে সাগর যুক্তরাজ্যে ‘বার অ্যাট ল’ পড়তে যান। এর মধ্যে বাংলাদেশে এসে কাউকে না জানিয়ে সাগর ক্লোজআপ তারকা সালমাকে গোপনে বিয়ে করেন এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে সালমার সঙ্গে বিয়ের খবর জানাজানি হয়। সাগর ও তার বাবা-মাকে খুঁজছে।
সালমা জানায়, মামলা ও বিয়ের আমি কিছুই জানি না। সাগর সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বাইরে। আমার স্বামী এখন লন্ডনে আছেন।হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বলেন, মামলা হয়েছে বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে শুনেছি। গ্রেফতারি পরোয়ানা চিঠি এখনও থানায় আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ।এর আগে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সালমা ও শিবলী সাদিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্নেহা নামে সাত বছরের কন্যাসন্তান আছে।
প্রতিনিধি